চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ও দর্শনা থানার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে এক ভাই নিহত ও এক ভাই গুরুতর আহতসহ উভয় পক্ষের মোট ৪ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের তিতুদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) তিতুদহ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এদিকে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত রফিকের ভাই শফিকুল ইসলামও গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলাম ও আহত শফিকুল ইসলাম তিতুদহ গ্রামের মৃত. আব্দুর রহিমের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টিসিবির পন্য বিতরণ কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও চার জন আহত হয়েছেন বলেও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে তিতুদহ ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের কার্ড দেয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া গ্রুপ ও রফিক গ্রুপের মধ্যে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণত সম্পাদক টোটনের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন রফিকের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ছাড়াও আহত হন- রফিকের ছোট ভাই শফিক, বিএনপি নেতা মিলন, টোটন, রফিকুল। তারা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ছিলো প্রতিবাদী। ওই ইউনিয়নের সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক টোটনের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে জীবন দিতে হলো। এছাড়া রফিকের ভাই শফিকের অবস্থা আশংকা জনক।তিনি আরো জানান, বিএনপি একটা বৃহত দল। এখানে নেতৃত্বের লড়াই থাকবে, মতভেদ থাকবে তাই বলে কাউকে মেরে ফেলতে হবে এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দল অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিবে।তিতুদহ ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি ঈসমাইর হোসেন জানান, ভিজিএফ’র কার্ড বিতরণ নিয়ে কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। আজ ইউনিয়নে বসে বিষয়টির মীমাংসা করার কথা ছিল। এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে রফিক মারা গেল।এবিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীরের যোগাযোগ চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে গেয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি শান্ত আছে। এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর