রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়া তাহরীরের এক সদস্যকে মারতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। এ ঘটনার পর সেই রিকশচালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।সেই খবর শুনে তাকে ছাড়িয়ে আনেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ডিএমপির মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয় থেকে তাকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই রিকশাচালকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।রিকশাচালককে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলেননি উপদেষ্টা আসিফ।এর আগে শুক্রবার (০৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীর।জুমার নামাজের পরপরই পল্টন এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়। বিজয়নগরের দিকে মিছিলটি অগ্রসর হলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এর আগে প্রায় ১৫ মিনিট এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। এরপর পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে হিজবুত তাহরীরের কর্মীরা।এরপর তারা আবার একত্র হয়ে মিছিল শুরু করার চেষ্টা চালায়। তখন আবার কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় হিজবুত তাহরীরের কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।এর আগে আজ (শুক্রবার) সকালে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, হিজবুত তাহরীরের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এতে আরও বলা হয়, হিজবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যে কোনো সংগঠনের কার্যক্রম দণ্ডনীয় অপরাধ। এর আওতায় হিজবুত তাহরীরের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ বা প্রচারের যে কোনো প্রচেষ্টা আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর