ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ইফতারের বেঁচে যাওয়া দুই কোয়া কমলা খাওয়ায় মাদ্রাসাছাত্রকে হাত-পা বেঁধে পেটানোর অভিযোগ ওঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।বুধবার (০৫ মার্চ) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হাওলাদার।নির্যাতনের শিকার শিশু সাগর হোসেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মথুরাপুর আদর্শ এতিমখানার ছাত্র।এলাকাবাসী জানান, মধুপুর এতিমখানায় ইফতারে বেঁচে যাওয়া মাত্র দুই কোয়া কমলা খেয়েছিল কিশোর সাগর হোসেন। এরপর শুরু হয় নির্যাতন। দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে গাছের ডাল আর ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই মারধরের কারণে সাগরের সারা শরীরে দগদগে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষক সাগরের সঙ্গে এতিমখানার আরও এক শিশুকেও মারধর করেন। পাশবিক এমন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।এতিম কিশোর সাগর হোসেনের মা মধুমালা খাতুন জানান, গত সোমবার (৩ মার্চ ) এক ব্যক্তি ইয়াতিমখানায় ইফতারের আয়োজন করেন। ইফতার শেষে কিছু কমলালেবু বেঁচে যায়। রাতে এতিমখানার কিশোর সাগর হোসেন সেখান থেকে দুই টুকরো কমলা খায়। এর কারণে বুধবার ফজরের নামাজ শেষে তাকে দঁড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মেহগনি গাছের ডাল এবং ব্যাট দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক ইমরান হাওলাদার। মারধরে সাগর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদের খবর দেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হাওলাদার। তিনি অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হাওলাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।এতিমখানার সুপার জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। এতিম কিশোর সাগরকে এভাবে মারধরের ঘটনায় শিক্ষক ইমরান হাওলাদারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই তিনি পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে থানায় আমি নিজে বাদি হয়ে অভিযোগ দিয়েছি।ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে এতিমখানা থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এতিমখানার সুপার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর