ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত জাতের তিল বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এতে কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন তিল আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার শতাধিক কৃষককে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি এক কেজি করে উন্নত জাতের তিল বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল। এসময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা দেবাশীষ কর্মকারসহ প্রান্তিক কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।উপজেলার বানা ইউনিয়নের টোনাপাড়া এলাকার কৃষক রোকন শেখ বলেন, গত মৌসুমে ১৫ শতাংশ জমিতে তীল বীজ রোপণ করে ভালোই ফলন পেয়েছি। তবে উন্নত জাতের বীজ পেলে ফলন আরও বেশি হতো। এবছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের বীজ ও সার পেয়েছি। যা দিয়ে ৩০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করবো। আশাবাদী তিল চাষে বাম্পার ফলন হবে।টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল এলাকার সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এ বছর ৩০ শতাংশ জমিতে তিল বীজ রোপণ করবো। কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের বীজ ও প্রয়োজনীয় সার পেয়েছি। বাম্পার ফলনের আশা করছি।আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা জানান, তিল চাষে খরচ অনেক কম, আগাছা পরিষ্কার করা ও পানি সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। তাই গ্রীষ্মকালীন তিল আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার শতাধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে তিল বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। আশা করি, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে তিলের বাম্পার ফলন হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর