নওগাঁর মান্দায় দোকানে নুডলস কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত রিফাত হোসেন (২৪), মহাদেবপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।ওই স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে গত শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়ের একটি দোকানে নুডলস কেনার জন্য যায়। সে বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা রিফাত হোসেন মুখ চেপে ধরে নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে ধানী নামের এক ব্যক্তির সহায়তায় মেয়েকে ধর্ষণ করে রিফাত। এরপর নুডলস না কিনে বাড়ি ফিরে শুয়ে পড়ে। সারা দিন খাওয়াদাওয়াও করেনি। গত সোমবার মেয়ের ধর্ষণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারি।’স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে গ্রামের এক মাতবরের বাড়িতে ডেকে নিয়ে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটমাট করে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে থানায় যেতে পারছি না।’ওই স্কুলছাত্রী জানায়, ‘ওয়াশ ব্লকের ভেতরে নিয়ে আমার ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে রিফাত খারাপ কাজ করেছে। এ সময় সেখানে ধানী দাদু বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ করলে রিফাত আমার বাবাকেও হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়েছে। ভয়ে আমি বাড়িতে কিছুই বলতে পারিনি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, “গত সোমবার ‘ফারজানা ফারিয়া অন্তরা’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ধর্ষণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। আমরা ধর্ষক রিফাতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা বলেন, ‘এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে দুইজনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর