গোপালগঞ্জ এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় গোপালগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।এ ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪ প্লাটুন সদস্য।বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়েছে চার প্লাটুন বিজিবি।এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে। এ ঘটনার পর এনসিপির নেতারা গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউজে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।এর আগে দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত এনসিপির সমাবেশের মঞ্চেও এ হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।এরপর হামলা-ভাঙচুরের মধ্যেই গোপালগঞ্জের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন এনিসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।দুপুর ২টার আগেই দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে ওঠেন। ২টা থেকে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন।সেখানে প্রথমে মাইক হাতে কথা বলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এরপর মাইক হাতে নিয়ে টানা স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল মুখর করে রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর