প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পরে একমাত্র মেয়েকে (০৮) নিয়ে একাই থাকতেন চম্পা। অভাবের সংসারের গ্লানি টানছিলেন শ্রমিকের কাজ করে। খানিক বিনোদনের জন্য খোলেন টিকটকে একাউন্ট। আর সেই একাউন্টই যেন কাল হয়ে এলো চম্পার জীবনে। টিকটক থেকে প্রণয়ে জড়িয়ে বিয়ে, দুইবার গর্ভপাতের পরে এখন সেই ‘স্বামীকে’ পেতেই হন্যে হয়ে ঘুরছেন তিনি। এমনকি স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে থানারও দ্বারস্থ হয়েছেন।কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা চম্পা জানান, টিকটকের মাধ্যমে তিনি প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের কাফরদীর মাসুদের (৩০) সাথে। প্রণয় একপর্যায়ে গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। মেয়েকে নিয়ে একা থাকা চম্পার বাসায় দিনের পর থাকতে শুরু করেন মাসুদ। একপর্যায়ে চম্পা গর্ভবতী হলে মাসুদ তাকে কিছুদিন পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করেন।এর কিছুদিন পরে মাজার ছুঁয়ে বিয়ে করেন তারা। এরপর ফের এক মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়লে সেই বাচ্চাও নষ্ট করতে বাধ্য করেন মাসুদ। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতে বেঁকে বসেন মাসুদ। চম্পার বাসা থেকে চলে আসেন সোনারগাঁয়ে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন চম্পার সাথে।মাসুদের সন্ধান না পেয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন চম্পা। চম্পা এখন মাসুদের সাথে থাকা ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি আর কলরেকর্ড নিয়ে সমাধানের আশায় যাচ্ছেন দ্বারে দ্বারে। এ বিষয়ে চম্পা বলেন, ‘মাসুদ আমাকে মাজার ছুঁয়ে বিয়ে করেছে। ও আমার বাসাতেই অধিকাংশ সময়ে থেকেছে এই দেড় বছরে। আমার সাথে এক ঘণ্টা কথা না হলেই ও পাগলের মতো হয়ে যেতো, অথচ এখন দিনের পর দিন আমার কোনো খোঁজ নিচ্ছে না। বরং ওর পরিবারের লোকজন আমাকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই।’এ বিষয়ে জানতে মাসুদের নাম্বারে কল করা হলে তার বোন পরিচয় দিয়ে এক নারী বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা কথা। মাসুদকে ওই মহিলা (চম্পা) ফাঁদে ফেলেছে।’অভিযোগের বিষয়ে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর