নরসিংদীতে নিখোঁজের ২০ দিন পর রমজান মিয়া (৩২) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে মাধবদী থানার কবিরাজপুর এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ হতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।পরকীয়ার জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম।এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- কুমিল্লার হোমনার জয়পুর এলাকার জব্বার মিয়ার ছেলে, বর্তমানে মাধবদী থানার কবিরাজপুর এলাকার ভাড়াটিয়া মোঃ কাউছার মিয়া (৩৫) ও কবিরাজপুর এলাকার হাছান আলীর ছেলে মোঃ শামীম মিয়া (৩৮)।এর আগে গত ২১ জুন অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন চালক রমজান মিয়া। তিনি মাধবদী থানার রাইনাদী এলাকার সদর আলীর ছেলে।পরে গত (৭ জুলাই) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজ রমজানের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবার অভিযোগ করে যে, রমজান আলিকে খুঁজতে প্রশাসন পুরোই নিষ্ক্রিয়তা দেখাচ্ছে। ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। নিখোঁজের সন্ধানে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানায় তার পরিবার।পুলিশ জানায়, গত ২১ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন রমজান মিয়া। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাধবদী থানায় জিডি করেন। পরে রমজানের স্ত্রীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলে পুলিশ অনুসন্ধানে নামে। নিহতের পরিবারের সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ কবিরাজপুর গ্রামের মোঃ সজিব (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মোঃ কাউছার মিয়া ও শামীম মিয়া নামের আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেখানো মতে রমজানের মরদেহ পাকা রাস্তা সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামিদের আদালতে পাঠানোসহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: নজরুল ইসলাম বলেন, সজিবের স্ত্রীর সঙ্গে অটোচালক রমজান মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সজিব অন্যান্যদের সহায়তায় রমজানকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর