কুমিল্লা নগরীতে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ সময় পর্যন্ত ৪৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস বলছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।এদিকে, টানা বৃষ্টিতে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা নগরীতে তৈরি হয় দুর্ভোগের চিত্র। নগরীর বিভিন্ন মোড় ও সড়কে বৃষ্টির কারণে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। ছাতা ও রেইনকোটে সজ্জিত হয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে জলাবদ্ধ সড়ক।নগরীর বাগিচাগাঁও মোড়ে কথা হয় কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষার্থী ইফান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্কুল পৌঁছাতে দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতে হয়। বৃষ্টিতে রিকশা নিবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ভাড়া বেশি চাওয়ায় সেটা আর নিইনি। তাই হেঁটে হেঁটেই যাচ্ছি।’সকালে কথা হয় নগরীর অশোকতলা এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি কর্মজীবী সেলিনা হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার সময় অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। পায়ে হেঁটে, ভিজে ভিজে অফিসে যেতে হচ্ছে। এই শহরে বৃষ্টি মানেই ভোগান্তি। বৃষ্টি হলেই রিকশাওয়ালাগুলোর দাম বেড়ে যায়। তারা ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা চায়।’নগরীর বাগিচাগাঁও, নিউ মার্কেট, টমছমব্রিজ, কান্দিরপাড়, ধর্মপুর রেলগেট, পুলিশলাইন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক সড়কেই পানি জমা শুরু করেছে। টানা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন নগরবাসীরা।এদিকে, বৃষ্টি একদিকে যেমন স্বস্তি আনছে প্রকৃতিতে, তেমনি নগরীর অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা আবারও সামনে এনে দিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, এই ধরনের বৃষ্টি আরো তিন দিন থাকতে পারে। ফলে নগরবাসীকে সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর