লেবানের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা নাঈম কাশেম জানিয়েছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসন যতক্ষণ চলবে, ইসরায়েলিরা যতদিন দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনাদের প্রত্যাহার না করবে—ততদিন তারা অস্ত্রসমর্পণ করবেন না।রোববার (৬ জুলাই) আশুরা উপলক্ষে বক্তব্য দেন হিজবুল্লাহ প্রধান। তিনি বলেন, ‘যেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে, তখন আমাদের কেউ অবস্থান নরম বা অস্ত্রসমর্পণের কথা বলতে পারে না। আপনারা কীভাবে প্রত্যাশা করেন আমরা শক্ত অবস্থানে থাকব না, যখন ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে? তারা দক্ষিণ লেবানের পাঁচটি পয়েন্ট এখনো দখল করে রেখেছে। আমাদের অঞ্চলে প্রবেশ করছে এবং হত্যা করছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লেবাননে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বৈধতা দেওয়ার অংশ হতে পারব না। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেব না।’দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার বলেছেন, লেবাননের সঙ্গে তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী। তার সেই কথার জবাবেই মূলত এমনটা বলেছেন হিজবুল্লাহ প্রধান।তিনি তার বক্তব্যে আরও জানিয়েছেন, যখন ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হবে, লেবানন পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে, তখন তারা দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করবেন। দ্বিতীয় ধাপ হলো লেবাননের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা নীতি।২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এরপর ইসরায়েলও হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে, যা ছোটখাটো হামলাতে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। ওই যুদ্ধে ৪ হাজার মানুষ নিহত হন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। তবে তা সত্ত্বেও লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।এদিকে দখলদারদের দাবি, হিজবুল্লাহ যেন নিজেদের পুনর্গঠন না করতে পারে, সেজন্য তারা এসব হামলা চালাচ্ছে।এদিকে যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের সরকারকে চাপ দিচ্ছে, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই যেন হিজবুল্লাহকে অস্ত্রসমর্পণে বাধ্য করা হয়। তবে লেবাননি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহর অস্ত্রের বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং সূক্ষ্ম সমস্যা, যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়। সূত্র: আল জাজিরাএবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর