চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র চাতরী চৌমুহনী বাজার এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে জমে উঠেছে বর্জ্যের স্তুপ, ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র দুর্গন্ধ। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বাজারের বিভিন্ন দোকান ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন বিক্রয় শেষে সড়কের পাশেই ফেলে যাচ্ছেন কাঁচামালের আবর্জনা। নির্দিষ্ট কোনো বর্জ্য নিষ্পত্তির ব্যবস্থা না থাকায় দিন দিন ময়লার স্তূপ বেড়েই চলেছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও নিয়মিত পথচারীরা বলছেন, বাজারের পরিবেশ এখন ভয়াবহ। হাঁটতে গেলেই দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয়। বৃষ্টির সময় এই অবস্থা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।চাতরী এলাকার বাসিন্দা মো. মোজাহের বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনার কারণে হাঁটাচলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অফিসে যেতে গিয়ে নাক চেপে চলতে হয়। অথচ এত বড় বাজারে একটা ডাস্টবিন নেই।’নারী ক্রেতা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘সবজি কিনতে এসেছি, কিন্তু ময়লার পাশ দিয়ে হাঁটতে খুবই অস্বস্তি হচ্ছে। বাজারের পরিবেশ একদমই ভালো না।’ভ্রাম্যমাণ দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আমাদের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই ময়লা ফেলার। ব্যবসা শেষে পাশেই ফেলে যাই। কর্তৃপক্ষ যদি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দিত, আমরা সেখানে ফেলতাম।’বাজার মালিক সমিতির উপদেষ্টা ব্যবসায়ী নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা বাজারের সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করি। কিন্তু বাইরের দোকানিরা ময়লা ফেলে চলে যায়, এতে সমস্যা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া জরুরি।’জানা যায়, কয়েকদিন আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযান চালিয়ে এই স্থানে ময়লা ফেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। জরিমানাও করা হয় কয়েকটি দোকানিকে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার সময়ের কন্ঠস্বর-কে বলেন, ‘আমি বাজারে অভিযান চালিয়েছি। ইজারাদারদের বলেছি খাসজমি নির্ধারণ করে জানাতে, যাতে বর্জ্য ফেলার স্থান নির্ধারণ করা যায়। কিন্তু তারা এখনো কিছু জানায়নি।’পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর