দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় পৃথক দুইটি ঘটনায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুসহ এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। দুইটি ঘটনা ঘটেছে ভাবকী ও ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নে।রবিবার (০৬ জুলাই) সকালে উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের গুলিয়াড়া গ্রামে পুকুরে ডুবে মারা যায় দুই বছর বয়সী জনক রায়। সে স্থানীয় লিটু রাম রায়ের ছেলে।পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে খেলতে খেলতে পরিবারের অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় শিশু জনক। কিছুক্ষণ পর পানিতে ভাসতে দেখা গেলে দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে ততক্ষণে শিশুটি মারা যায়।ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন বলেন, ‘শিশু জনকের মৃত্যু আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। পরিবারের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।’একইদিন সকালেই উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের গণিপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ বছর বয়সী কিশোর রানা ইসলামের মরদেহ। সে ওই এলাকার ওবায়দুল ইসলামের ছেলে।পরিবার জানায়, শনিবার দুপুরে বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাছ ধরে বাড়ি ফিরেছিল রানা। পরে গোসল করতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফেরেনি। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর রবিবার সকালে পুকুরে ভেসে ওঠে তার মরদেহ। পুকুরপাড়ে রানার টি-শার্ট পড়ে থাকতে দেখে আগেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল।রানার বাবা ওবায়দুল ইসলাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে সাঁতার জানতো। আমরা অনেক খুঁজেও পাইনি। সকালে চোখের সামনে ছেলের নিথর দেহ দেখে ভেঙে পড়েছি।’এলাকাবাসীর দাবি, রানার মরদেহ যে পুকুরে পাওয়া গেছে, সেখানে পানির গভীরতা ছিল মাত্র কোমর সমান। সাঁতার জানা একজন কিশোর সেখানে ডুবে যাবে, এটা তারা রহস্যজনক বলেই মনে করছেন।খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, ‘দুইটি ঘটনাই অত্যন্ত দুঃখজনক। শিশুর মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে। কিশোর রানার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তদন্ত চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর