আজ মঙ্গলবার উদযাপিত হবে ১০৫তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল ও হোস্টেল থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শোভাযাত্রা সহকারে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে সমবেত হবেন। সেখান থেকে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রদক্ষিণ করবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।সকাল ১০টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সম্মুখস্থ পায়রা চত্বরে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ও হলসমূহের পতাকা উত্তোলন এবং কেক কাটার মাধ্যমে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবেন।এরপর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে টিএসসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্যভিত্তিক আলোচনা সভা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ ফায়েজ। উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আলোচনা সভার শুরুতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হবে।বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে, নিরাপত্তা ও শোভাযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নীলক্ষেত ও ফুলার রোড সংলগ্ন প্রবেশ পথে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, ১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। সেই ঐতিহাসিক দিনের স্মরণে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর