দীর্ঘ ১২ দিন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার হামলা-পাল্টার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (২১ জুন) ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এ হামলার পর মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। ইরান এই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর সোমবার (২৩ জুন) সিরিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এরপর সবশেষ ইরান কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। কাতার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা ইরানের হামলা প্রতিহত করেছে। এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আগেই সতর্ক করেছিল ইরান। যার সূত্র ধরেই কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিল কাতারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। এখন প্রশ্ন উঠেছে, তেহরান কেন যুক্তরাষ্ট্রকে আগে থেকেই সতর্ক বার্তা দিয়েছিল। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্টেফান ফ্রুহলিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরানের পাল্টা হামলার উদ্দেশ্য ছিল মূলত ‘প্রতীকী’।তার ভাষ্য, এই সতর্কতার মাধ্যমে ইরান বোঝাতে চেয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও বড় সংঘাতে জড়াতে চায় না। ফ্রুহলিংয়ের মতে, ইরানের পক্ষ থেকে সময় ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে আগাম জানানো হয়েছে যাতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারে।তিনি আরও বলেন, এই সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারকে এক ধরনের বার্তা যে ইরান সংঘাত সীমিত রাখতে চায় শুধু ইসরায়েলের সঙ্গেই। কারণ, সংঘাত বাড়লে তারা সামরিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে।ফ্রুহলিং বলেন, এর আগেও ইরান এমন ‘লোক দেখানো’ হামলা চালিয়েছিল ইরান। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পরও ইরান এমটিই করেছিল। আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর