দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শ্বশুরবাড়ির আমগাছ থেকে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২২ জুন) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার ৪নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের পাটশাও গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এই ঘটনার কোনো কারণ জানতে পারেনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি নাজমুল হক।নিহত জামাইয়ের নাম মজনু মিয়া (২৮)। তিনি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হারুন-উর রশিদ বলেন, সাত বছর আগে স্থানীয় আলিমুদ্দিনের মেয়ে নাহিদা বেগমের সাথে বিয়ে হয় মজনু মিয়া। সেই থেকে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে স্ত্রী ও পাঁচ বছরের ছেলে সন্তান নিয়ে ঘরজামাই হিসাবে বসবাস করে আসছিলেন। জীবিকার তাগিদে কখনো গাড়ির সহকারী আবার কখনো ঘরের টিন মিস্ত্রির সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। এছাড়া মজনু মিয়া একজন মাদকাসক্ত ছিলেন।নিহতের স্ত্রীর পরিবারের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আরও জানান, গেল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে খাবার খেয়ে পরিবারের সাথে ঘুমিয়ে পড়েন মজনু মিয়া। রাতের কোনো এক সময় সকলের অগোচরে আম গাছে উঠে ডালের সাথে গিট দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। রোববার সকালে মজনু মিয়ার শাশুড়ি বাড়ির সামনে আমগাছের ডালে জামাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, পুলিশ এসে গলায় ওরনা পেঁচানো মজনু মিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। তাছাড়া পরিবারের কাছে থেকে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর