সংস্কার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, না জুন না ফেব্রুয়ারি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের দায়িত্ব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেন। জন আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে গেলে পরিণতি পরাজয়।শনিবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) আয়োজিত ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর জনগণ আপনাদের দায়িত্বে বসিয়েছে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্যে এবং যে সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন, বিচারালয়, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেবেন। জনগণের ক্ষমতা, জনগণের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেবেন। জনগণ তার ইচ্ছায় অভিপ্রায় ভোটাধিকারের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন।এছাড়া আওয়ামী লীগের মত জুলাই শহীদদের নিয়ে দলীয়করণ হলে সব শহীদকে অবমূল্যায়ন করা হবে উল্লেখ করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সবাইকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ এই অভ্যুত্থান আওয়ামী দোসর ছাড়া সবার অংশগ্রহণে অর্জন হয়েছে। যারা জিয়াউর রহমানকে অবমূল্যায়নের চেষ্টা করেন তারা আয়নায় মুখ দেখলে দেখবেন তাদের নেতাই দায়িত্ব থেকে পালিয়েছিল।তিনি বলেন, ৮ আগস্ট আপনাদের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে আজ ২১ জুন প্রায় ১০ মাস হতে চললো, কয়েকদিন পর বর্ষপূর্তি হবে। এ অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়ে আমাদের জানতে ইচ্ছা হয়, আপনারা আবু সাঈদ, মুগ্ধ অসীমের কথা বলেন। কিন্তু আমাদের সব শহীদদের কথা বার বার বলতে হবে। কিন্তু শহীদদের যদি আপনারা আওয়ামী লীগের মতো দলীয়করণ করেন তাহলে শহীদদের অবমূল্যায়ন করা হবে। এ শহীদ জাতির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য।কিন্তু, ইলিয়াস আলী, কমিশনার চৌধুরী আলমসহ ১৭ বছরের ইতিহাসকে ভুলে গেলে কোনো অবস্থাতে জুলাই-আগস্টে পৌঁছাতে পারবেন না। কারণ ৪৭ না হলে ৬৯ হতো না, ৬৯ না হলে ৭১ হতো না। ৭১ না হলে ৯০ হতো না। ৯০ না হলে ২৪ হতো কিনা বিরাট বড় প্রশ্ন থেকে যেতো। যার যা অবদান অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে। এবং তাদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে।এটা আমাদের দায়িত্ব।বিএনপির এ নেতা বলেন, আয়নায় আপনারা চেহারা দেখবেন। তারেক রহমান শুধু একজন মানুষ নয়। তারেক রহমান এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতীক। তিনি নিজের যোগ্যতা বলে শুধু বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে তাদের কে না, বিএনপিকে না, গণতন্ত্রকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধের করে নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বললে মানুষ হাসে।তিনি বলেন, ১৮ কোটি মানুষের দায়িত্ব কি আপনারা নিয়েছেন? বলেন আপনাদের দল বিব্রত হয়েছে। মনে রাখবেন সবসময় জাতিকে নিয়ে টান দেবেন না।তাহলে হিসাব নিকাশ অন্য হতে পারে। তারেক-ইউনূস বৈঠকের পর এ দেশে অনেক ধরনের বিশৃঙ্খলা কমে গেছে। শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসছে। মানুষের মনে একটা আশা জেগেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের অধিকার জনগণকে ফেরত দেওয়ার মধ্যই আগামীর বাংলাদেশ গড়ার শক্তি নিহিত আছে। কোন অবস্থাতেই এটিকে যদি প্রলম্বিত করার চেষ্টা করা হয় আর বিএনপিকে নিয়ে যদি কথা বলা হয় তাহলে মেনে নেওয়া হবে না।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর