ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলি শাসনব্যবস্থার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি। স্পিকার বাকের গালিবাফ বলেন, আমরা যুদ্ধ প্রসারিত করতে চাইনা, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভ্রান্তিকর রাষ্ট্রপতির জানা উচিত যে আমাদের জাতি পশ্চিমা দেশগুলির মতো নয়, যার নিয়ন্ত্রণ তিনি নিতে এবং যেকোনো কিছু চাপিয়ে দিতে সক্ষম হবেন।তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে শান্তির সম্ভাব্য শর্তাবলী চাপিয়ে দিতে পারে না।ইরানের স্পিকার বলেন, ইসরাইলি সরকার ধরে নিয়েছিল যে তারা ইরানি সামরিক কমান্ডারদের ওপর প্রাথমিক আক্রমণের পরে পদক্ষেপ নিতে পারবে, কিন্তু ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী দ্রুত ক্ষেত্রটি পুনরুদ্ধার করে।প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন রাতে ইসরাইলি সরকার তেহরানের আবাসিক ভবনসহ ইরানে হামলা চালায়। হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়। সরাসরি ঘরবাড়িতে আঘাত হানার ফলে বেসামরিক নাগরিকরা মারা যায়। সমগ্র জনবসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ওইদিন ভোরে হামলার পর ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি একই দিনে নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ করেন এবং বলেন, ইসরাইলের জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে। এর কিছুক্ষণ পরেই, ইরানি সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের জন্য ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলে শাস্তিমূলক হামলা শুরু করে। তেলআবিব, জেরুজালেম এবং হাইফাসহ অন্যান্য সংবেদনশীল স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। এতে অঞ্চলগুলোর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ইসরাইলিরা ভূগর্ভস্থ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে দিনরাত কাটাচ্ছে। অনেক ইসরাইলি নৌকায় করে গ্রিস এবং সাইপ্রাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য চোরাকারবারিদের মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছে।ইরানি কর্মকর্তারা জানান, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকবে।সূত্র: মেহের নিউজএমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর