রাজধানীর বনানী ও রামপুরায় পৃথক ঘটনায় বাসের হেলপার ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুন) সকালে এবং রাতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।নিহতরা হলেন- বনানীর মো. মুন্না (১৯) ও রামপুরায় সুমি আক্তার (৩৫)।বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মওদুদ কামাল জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।তিনি জানান, আত্মীয়ের কাছে জানতে পারি নিহত মুন্না একজন বাসের সহকারী হিসেবে কাজ করতো। গত রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।নিহতের বাবা মো. ইয়াসিন বলেন, ‘আমার ছেলে বাসের হেলপারি করতো। জোনাকি নামের এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে তার একটি সন্তান হয়েছিল, ছেলেটি মারা যায়। এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা কম বলতো। পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নিজ রুমে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।’অপরদিকে, রামপুরা থানার পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপার এলাকায় একটি বাসায় সুমি আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খাঁন আব্দুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গতকাল পূর্ব হাজীপাড়া ঝিলপাড়ের একটি বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বজনের কাছে থেকে জানতে পেরেছি যে, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর