পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া তেরো বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাহাদুর হাওলাদার (২৯) নামে এক মোটরসাইকেলচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।সোমবার (১৬ জুন) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে গলাচিপা সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকার সোমবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বুধবার (১৮ জুন) ভুক্তভোগী ছাত্রীর মামা গলাচিপা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার বিবরণ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা সদর ইউনিয়নের পক্ষিয়া গ্রামের ওই শিক্ষার্থীর জন্মের পরপরই তার বাবা নিরুদ্দেশ হন। এরপর থেকে মেয়েটি মামাবাড়িতে বসবাস করছে। বাবা না থাকায় সে সমাজে অসহায় অবস্থানে ছিল। এই সুযোগে একই এলাকার অভিযুক্ত বাহাদুর হাওলাদার দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নানা প্রলোভন দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।স্বজন ও ভুক্তভোগীর দাবি, বিয়ের মিথ্যা আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় বাহাদুর। সর্বশেষ, সোমবার রাতে ছাত্রীটি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে, আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বাহাদুর তাকে জোর করে পাশের সোমবাড়িয়া বাজারের একটি টেইলারিং দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই দোকানটি বাহাদুরের বড় ভাই বাদশার বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি ও মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে গেলে অভিযুক্ত দ্রুত পালিয়ে যায়।ঘটনার বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’এদিকে ঘটনার পর এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। দ্রুত দোষীকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর