সংকটে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংককে আরও ১ হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেসরকারি খাতের ব্যাংকটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের আগে ১০ শতাংশ সুদে ৯০ দিনের জন্য এ টাকা দেওয়া হয়েছে।প্রচলিত পদ্ধতিতে টাকা ধার নেওয়ার জন্য ব্যাংকটির কাছে বন্ড না থাকায় ‘ডিমান্ড প্রমিসরি’ (ডিপি) নোটের বিপরীতে এ অর্থ দেওয়ার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগে ব্যাংকটি টাকার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ অর্থ দেওয়া হয়।গত বছরের ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাতে পালাবদলের হাওয়ায় নতুন পর্ষদ দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটিতে এ নিয়ে ছয় হাজার কোটি টাকার তারল্য সহায়তা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু বলেন, ‘ঈদের আগে টাকার চাহিদা বেড়ে যায় অনেক। বিশেষ করে রেমিটেন্স পাঠানো গ্রাহকদের স্বজনের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে বাড়তি টাকার প্রয়োজন হয়। সেজন্য এই তারল্য সহায়তা চাওয়া হয়েছিল। তবে ঈদের পরও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া ১ হাজার কোটি টাকার পুরোটা শেষ হয়নি। আবার আমানতের টাকাও বাড়ছে। তাই তারল্য সহায়তা ও আমানতের টাকা দিয়েই চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’টাকা ছাপিয়ে কোনো ব্যাংকে সহায়তা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর আহসান এইচ মনসুর। তবে পরে একের পর এক নগদ টাকার সংকটে গ্রাহকদের টাকা দিতে না পারলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ধারার ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়। সেগুলোর মধ্যে ধুঁকতে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকও ছিল।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর