চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস মিয়ার একটি বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে।’বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, একটি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ইদ্রিস মিয়া বক্তব্য রাখছেন। তাঁর পেছনে টাঙানো ব্যানারে লেখা ছিল ‘সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি’। দলীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ আয়োজনে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিস মিয়া।তবে বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ইদ্রিস মিয়া দাবি করেন, ইউএনও বা ওসিকে নিয়ে এমন কোনো মন্তব্য তিনি করেননি। তাঁর ভাষ্য, ‘আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।’উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে ৬ মে ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাঁকে পুনরায় আহ্বায়ক রাখা হয়। এর আগে তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার, সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর