ভোলায় পৃথক ৩টি ঘটনায় এক শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রতিটি লাশ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক পৃথক ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে, ভোলা সদর উপজেলায় ২টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে পানিতে ডুবে এক শিশু, সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী এবং নিজ অটোরিকশার চাকায় হাওয়া দিতে গিয়ে চাকা ব্লাস্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের শামিম নামের দুই বছরের এক শিশুর নিজ পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার বাসিন্দা রাকিব মিয়ার ছেলে। খেলা করার সময় পরিবারের সদস্যদের অগোচরে পুকুরের পানিতে ডুবে যায় শিশু শামিম। পরে পুকুরের পানিতে ভেসে থাকতে দেখে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এদিকে বিকেল ৪টার দিকে একই উপজেলার ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের কমরউদ্দিন নামক এলাকায় একটি তৈলবাহী গাড়ির চাপায় শাহানুর বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মৃত কালু মোল্লার স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে তার বোনের বাসা থেকে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।একই সময় জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জের হাট বাজারে নিজ অটোরিকশার চাকায় হাওয়া দিতে গিয়ে চাকা ব্লাস্ট হয়ে মাথার খুলি উড়ে মিজানুর সিকদার (৪০) নামের এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের লেজছখিনা গ্রামের সেরাজুল সিকদারের ছেলে। তার নিজ অটোরিকশায় হাওয়া দিতে গিয়ে অতিরিক্ত হাওয়ার কারণে চাকা ব্লাস্ট হয়ে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।ভোলা সদর উপজেলার ২টি মৃত্যুর বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু শাহাদাৎ হাচনাইন পারভেজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং পরিবারের অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও বোরহানউদ্দিন থানার ওসি (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর