নবীগঞ্জ শেরপুর সড়কে যাত্রীবাহী বাসে এক কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। এ সময় অপর ধর্ষক, বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।গতকাল রবিবার (১৫ জুন) রাতের বেলায় ধর্ষিতার চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড়ে বাসটি আটক করে।জানা যায়, ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী (কাল্পনিক নাম) লিজা বেগম সকালে ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তার গ্রামের বাড়ি বানিয়াচং যাওয়ার জন্য। পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্টেশনে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন। ফলে বাসটি তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্টেশনে নামিয়ে দেয়।সেখানে রাত সাড়ে ১০টায় ওই ছাত্রী মা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি লোকাল বাসে উঠেন। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল। বাসটি আউশকান্দি নামক স্থানে আসলে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বাসে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের ড্রাইভার মো. সাব্বির (২৫) ও হেলপার লিটন (২৩) তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেন এবং বাস ড্রাইভারকে আটক করে।পরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ভিকটিম কলেজ ছাত্রী ও ধর্ষক ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ‘ওই কলেজ ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। বাস চালক সাব্বিরকে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার লিটন পালিয়ে গেছে।’পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর