ইরানে হামলা অগ্রহণযোগ্য ও উসকানিমূলক বলে জানিয়েছে রাশিয়া। মস্কো জানায়, ইসরায়েলের এই হামলা বিনাদোষে হয়েছে এবং এটা জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে। সে সাথে পশ্চিমা দেশগুলোকেও দোষারোপ করেছে যে, তারা ইরানে বিদ্বেষ ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। খবর রয়টার্স।রাশিয়া বলেছে, ইরানে হামলা চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা ও উত্তেজনা আরও বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। অপর দিকে, ইরানে পরমাণু কর্মসূচিতে স্বচ্ছতা ও সমাধানে ওয়াশিংটন ও মস্কো যে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে, তা ব্যাহত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে ক্রেমলিন।এদিকে ইসরায়েল শুক্রবার (১৩ জুন) দাবি করেছে যে, তারা ইরানে পারমাণিবিক স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা ও সামরিক কমান্ড কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে- যা তাদের ভাষায়, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে নিবৃত্ত রাখার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।রাশিয়ার ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকব বলেন, রাশিয়া এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও নিন্দা জানাচ্ছে। পুতিনও রাশিয়ার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার (এসভার) সাথে ঘন ঘন কথা বলছেন ও বাস্তব তথ্য সংগ্রহ করছেন।রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগে ইরানে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম হ্রাস ও তা বেসামরিক পরমাণু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছে, যা ওয়াশিংটন ও তেহরানে আস্থা সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে।উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জানুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ২০ বছর মেয়াদে কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে মস্কো চাইছে না যে, মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িত হোক এবং সেই চুক্তিতে পারস্পরিক আত্মরক্ষার অঙ্গীকারও অন্তর্ভুক্ত নেই।প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্যোগে প্রকাশিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিস্তারিত বিবৃতিতে ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর আচরণের নিন্দা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যে বলপ্রয়োগ হয়েছে- তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নির্দোষ মানুষ, শান্তির শহর ও পরমাণু স্থাপনায় হামলা মানবতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ, বলেছে রাশিয়া।মস্কো বিশ্বাস করে যে, ইরানে পরমাণু কর্মসূচিতে পশ্চিমা সন্দেহ ও আতঙ্ক নিরসন করার একমাত্র পথ হলো কূটনীতি ও আলোচনা। আমরা সবাইকে আত্মসংযম প্রদর্শন করার ও মধ্যপ্রাচ্যকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে এগোতে না দেওয়ার আহ্বান জানাই, বলেছে রাশিয়া।একই সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্মরণ করিয়েছে যে, রোববার (১৫ জুন) ওমানে ওয়াশিংটন ও ইরানে অপর পরমাণু আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।এমআর-২
Source: সময়ের কন্ঠস্বর