নওগাঁর ধামইরহাটে জ্যৈষ্ঠের শেষে টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে নাকাল সব বয়সি মানুষ তবে বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। রোজ সকালের শুরুটা হচ্ছে ভ্যাপসা গরম দিয়ে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে সূর্যের প্রখরতা। অসহ্য গরমের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ।তিব্র দাবদাহ এর কারণে সাধারণ ও কর্মজীবি মানুষের ভোগান্তি আর কষ্ট বেড়েছে। তবে সবথেকে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদের কারণে দিনমজুর, শ্রমিক ও ভ্যানচালকরা কাজ করতে পারছেন না। জীবিকার তাগিদে গরমের তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে বের হয়েছেন রাস্তায়। মঙ্গলবার (১০ জুন) উপজেলার নিমতলী থেকে আমাইতাড়া বাজার এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায় এমন পরিস্থিতি। এমন তীব্র রোদের প্রখরতায় উপজেলার মানুষ রয়েছে অস্বস্তিতে। উপজেলার কয়েকটি গ্রামে চলছে বোরো ধান কাটার কাজ। অন্যদিকে জিআই পণ্য নাক ফজলি আম পাকতে শুরু করেছে। প্রচন্ড রোদ ও খড়তাপের কারণে শ্রমীকরা কাজ করতে পারছেন না। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সি মানুষের গরম জনিত রোগীদের সংখ্যা।ভ্যানচালক সোবহান মিয়া জানান, আমার ভ্যান থেকে উপার্জনের টাকা দিয়ে আমার পরিবারের ৪জন সদস্যদের খাবার যোগাতে হয়। তীব্র গরমে দুইদিন ভ্যান বের করতে পারিনি। আজ এসেছি রাস্তায় গরম উপক্ষো করে ভ্যানে যাত্রী কম রোদের কারণে। রোজগার না করলে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনপার করতে হবে আমাদের। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশীষ কুমার সরকার জাননা, গরম জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে তৈল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে পাশাপাশি রোগ থেকে রক্ষা পেতে বেশিবেশি পানি ও তরল খাবার পান করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে চলাফেরা না করা এবং ফল, শাক সবজি বেশি করে খাবার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর