বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্বে আছেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। সাধারণত তিনি খেলাতে পছন্দ করেন ৪-৩-১-২ ফর্মেশন। মানে চারজন ডিফেন্ডার, তিনজন মাঝমাঠে আর একজন একটু পেছনে থেকে আক্রমণে সহায়তা করে। এটা বেশ রক্ষণাত্মক একটা কৌশল।তবে সাম্প্রতিক সময়ে কোচ কাবরেরা একটু নতুন চিন্তা ভাবনা করছেন। সবশেষ ভুটানের সঙ্গে শেষ ম্যাচে তাকে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খেলাতে দেখা গেছে। চারজন রক্ষণের সঙ্গে মাঝমাঠে দুইজন, আর সামনে তিনজন ফরোয়ার্ড। নাম্বার নাইনে একজন মূল স্ট্রাইকার। এতে করে আক্রমণে অনেক বেশি ধার এসেছে। এর আগে ভারতের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের ম্যাচেও দেখা গেছে একই কৌশল। আর আজ (১০ জুন) সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও একই কৌশল দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা। যদি তা হয়, তাহলে রাকিব হোসেন থাকবেন স্ট্রাইকার হিসেবে। দুই পাশ থেকে আক্রমণ গড়তে দেখা যেতে পারে ফাহমিদুল ইসলাম ও শাহ কাজেম বা ফয়সাল ফাহিমকে।এদিকে মাঝ মাঠ সাজাতে বেগ পেতে হতে পারে কাবরেরার। বিশেষ করে শমিত সোমের জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তির পর এই মধুর সমস্যা দেখ দিয়েছে। সবশেষ ভুটান ম্যাচে মাঝমাঠে খেলেছিলেন হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা আর জামাল ভূঁইয়া। খন শমিতকে জায়গা দিতে হলে কাউকে না কাউকে বসতেই হবে। হতে পারে সোহেল নয়তো জামাল।রক্ষণভাগে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন কোচ। সেন্টার ব্যাকে স্বাভাবিকভাবেই তপু বর্মন ও তারিক কাজীর জায়গা নিশ্চিত। তবে ফুল ব্যাক পজিশনে সাদ উদ্দীনের সঙ্গ দিতে আজ মাঠে দেখা যেতে পারে শাকিল আহমেদ তপুকে। এবারের পুরো বিপিএল জুড়ে এমনকি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেছেন তিনি। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। আজ সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে তারা। এই ম্যাচ জিততে পারলে গ্রুপ সেরা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে।এই গ্রুপে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত, হংকং ও সিঙ্গাপুর—চার দলেরই এক পয়েন্ট করে। আজ ভারত খেলবে হংকংয়ের মাঠে। তাই কারা শীর্ষে উঠবে, সেটা এখনো বলা কঠিন।বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশমিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, জামাল ভূঁইয়া/সোহেল রানা, ফাহমিদুল ইসলাম, শাহ কাজেম/ফয়সাল আহমেদ, রাকিব হোসেন।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর