২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু তার আগে অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও দৃশ্যমান বিচার সম্পন্ন হতে হবে। অন্যথায় শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্গাপুর-পুঠিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।তিনি এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর অনুকূলে বিপুল জনমত রয়েছে। এ সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান লিটনকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে সবাইকে মাঠে-ময়দানে কাজ করার নির্দেশনা দেন।জামায়াতে ইসলামী পুঠিয়া উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দুর্গাপুর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাস্টার সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আব্দুল খালেক, জেলা নায়েবে আমির মাইনুল হোসেন শেখ ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাবেক জেলা আমির ও রাজশাহী অঞ্চল টিম সদস্য রেজাউর রহমান, জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও রাজশাহী-৬ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ নাজমুল হক, জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মিনহাজুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদুল্লাহ ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ।অনুষ্ঠানে পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীদের পরিচয় করে দেয়া হয়।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর