লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিন অন্তত ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে উপজেলার ৫৬ হাজারের বেশি গ্রাহককে। দিনের বাকি সময়েও থাকে ভোল্টেজের তারতম্য। ব্যাপক লোডশেডিং এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যেও এর প্রভাব পড়েছে। তীব্র এ লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করারও হুমকি দিয়েছেন অনেকে।যদিও বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেছে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। তাদের দাবি, লো-ভোল্টেজের কারণে এমনটি হচ্ছে।স্থানীয়রা বলছেন, ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশের সকল শিল্পকারখানা ও অফিস-আদালত বন্ধ থাকা সত্ত্বেও পল্লী বিদ্যুৎ সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘যেখানে আনন্দ থাকার কথা, সেখানে শুধু গরম আর অন্ধকার।’জানা গেছে, কমলনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫৬ হাজারেরও অধিক গ্রাহক রয়েছে। এর জন্য প্রতিদিন গড়ে ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। ঈদের ছুটিতে অফিস ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত লোডশেডিং।ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে আসা উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘অতীতের কোন ঈদে এবারের মতো এমন খারাপ পরিস্থিতি হয়নি। শহরের সব কিছু বন্ধ। তাই পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকার কথা।’এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলনগর উপজেলার জিএম নিতেশ সাহা বলেন, ‘লো-ভোল্টেজের কারণে সকল ফিডারে একসাথে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারি না। তাই বিকল্প হিসেবে এক লাইনের ফিডার বন্ধ করে আরেক লাইন চালু করতে হয়। এতে ভোল্টেজের তারতম্য ঘটে। ফলে এটিকে লোডশেডিং বলা যায় না।’পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লক্ষ্মীপুর জেলার ডিজিএম দিলীপ চন্দ্র বর্মন জানান, গ্রীড থেকে উপজেলার দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার। এই দূরত্বের কারণেই লো-ভোল্টেজের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের গ্রিডটি চালু হলে এমন সমস্যা আর থাকবে না। এই গ্রিডটি দ্রুত চালু হবে বলে তিনি জানান।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর