চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বিলের নিচু জমির কাঁচা-পাকা ধান আগাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলার খানমরিচ ও দিলপাশার ইউনিয়নের শত শত বিঘা জমির পাকা ধান এখন পানির নিচে। এতে ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় আছেন উপজেলার কৃষকেরা।সরেজমিনে দেখা গেছে, কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পানিতে নেমে কৃষকেরা সেই ধান কাটছেন। শ্রমিক সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষকের দুর্দশা। দিনে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা মজুরি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এসব ধান পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে নৌকা, কলার ভেলা, মহিষের গাড়ি ও পলেথিন দিয়ে তৈরী বিশেষ নৌকা।ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উপজেলার কৃষকরা সরিষা আবাদ শেষ করে ব্রি-২৯ জাতের এই ধান আবাদ করে থাকেন। যে কারণে এই ধান কাটতেও একটু দেরি হয়।উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের জয়রামপুর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১০ থেকে ১২ বছরে এমন আগাম বন্যা আর দেখেননি তারা। এ বছর ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫ থেকে ২৭ মণ ফলন আশা করেছিলেন। কিন্তু বন্যায় তলিয়ে গেছে ধান। আবার বৃষ্টির কারণেও শুয়ে পড়েছে কাঁচা-পাকা ধান। এ কারণে অনেক ধান ঝরে গেছে। এখন বিঘা প্রতি ফলন কমে ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে।’এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিন জাহান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘হঠাৎ আগাম বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার কিছু নিচু জমির ধান ডুবে গেছে। তবে অধিকাংশ কৃষক ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছেন। ধান কাটা শ্রমিক সংকট থাকায় বাকি ধান কাটতে সময় লাগছে।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর