রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আশিকার মানবিক সহায়তা প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইওএনও) শিরিন আক্তারের বাসভবনের সংলগ্ন হলরুমে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম – Alert B0-62 প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কংকন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু পরিবার এবং Alert B0-62 প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রকল্পের কমিউনিটি অর্গানাইজার সুজন বিকাশ তংচংগ্যার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের টিম লিডার মি: মিন্টু চাকমা। বক্তব্যে তিনি প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডাটা সংস্থা Sida, Ministry of Foreign Affairs of the Netherlands, JOA এবং START FUND BANGLADESH এর আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ৩৫৪ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ, খাদ্য প্যাকেজ, ওয়াস কিট, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। বক্তব্যে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন ধাপ সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন এনজিও কাজ করলেও দুর্যোগের সময় সবাই এগিয়ে আসে না। আশিকার মতো সব এনজিও এগিয়ে আসলে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসন আরো সফলভাবে কাজ করতে পারতো। প্রকল্প বাস্তবায়নে যাবতীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে তিনি স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশসহ সকল দাতা সংস্থাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আশিকা এই দুর্যোগে এগিয়ে এসেছে, সেই উদ্যোগ যেন সফল হয়, সেই প্রচেষ্টা রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমরা যদি তাদেরকে সহযোগিতা না করি, তাহলে অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আসবে না। আশিকা এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ এর মতো সকল বেসরকারি সংস্থাও যেন এই ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে। তিনি প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। সভাপতির বক্তব্যে বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কংকন চাকমা বলেন, আশিকা এখন বাঘাইছড়ি উপজেলায় জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা যেভাবে এগিয়ে আসে, অন্য সব এনজিও এগিয়ে এলে আমরা সুন্দর একটা বাঘাইছড়ি পেতাম। সকল দাতা সংস্থা, আশিকা এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন এবং অবহিতকরণ সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর