কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর জানাজা নামাজে শরীক হয়ে অঝোরে কাঁদলেন।শনিবার (০৭ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। রোববার (০৮ জুন) টাঙ্গাইল শহরের পিটিআই মসজিদ মাঠে বাদ জোহর প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ওই নামাজে শরীক হয়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বক্তব্য দিতে গিয়ে স্মৃতি রোমন্থনকালে অঝোরে কাঁদেন। এ সময় জানাজা নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের চোখও ঝাপসা হয়ে আসে। পরে কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটী গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বঙ্গবীরের বাবা-মায়ের পায়ের কাছে নাসরিন সিদ্দিকীকে শায়িত করা হয়। এর আগে রোববার সকালে নাসরিন সিদ্দিকীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি টাঙ্গাইলের ‘সিদ্দিকী কটেজে’ আনা হয়। ওই সময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর রাজনৈতিক সহকর্মী, সমর্থক, অনুসারী ও পরিবারের সদস্যরা এক নজর দেখার জন্য বাসায় ভিড় করেন। জানাজা নামাজে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান কায়সার চৌধুরী, মুরাদ সিদ্দিকী, শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকা বীর প্রতীক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল জেলা জামায়াত ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (০৭ জুন) দিবাগত রাত ১১টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাসরিন কাদের সিদ্দিকী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এর আগে গত ২২ মে নাসরিন সিদ্দিকীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। প্রথমে তাঁকে ঢাকার নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে স্কয়ার হাসপাতালে নিউরো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গত ২৩ মে মস্তিকে অস্ত্রপাচার হয়। ২২ মে থেকে তিনি অচেতন ছিলেন। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় নাসরিন সিদ্দিকী মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তাঁর পাশে স্বামী কাদের সিদ্দিকীসহ স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। নাসরিন কাদের সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর