সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আযহা উদযাপন করছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সাত গ্রামের মানুষ। শুক্রবার (৬ জুন) বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের চারটি স্থানে সকাল ৯টা, সাড়ে ৯টায় ও ১০টায় পর্যায়ক্রমে ৪টি ঈদুল আযহার জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।স্থানীয়রা জানান, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের রাখালতলি ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৯টা ও মাইটকুমরা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা ও মাইটকুমরা লস্করবাড়ি জামে মসজিদে সাড়ে ৯টা এবং সহস্রাইল দায়রা শরিফে সকাল ১০টায় আদায় শেষ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নামাজ শেষে তারা কোরবানী শুরু করেছেন।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের সাত গ্রামের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে পবিত্র রোজা ও দুটি ঈদ উৎসব পালন করে থাকেন। তাই অন্য এলাকার একদিন আগে এসব এলাকার লোকজন ঈদ উদযাপন করেন। একদিন আগে যারা রোজা, ঈদুল ফিতর উৎসব ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন তাঁরা সবাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার হযরত ইয়াছিন আলী (রহ.) পীরের অনুসারী। একদিন আগে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর দরবার শরীফের পীর সাহেব মুহাদ্দিস মুফতি রাকীবুল হাসান রাকীব বলেন,‘ নবীজিকে (সা.) জিজ্ঞেসা করা হলো নতুন চাঁদ সম্পর্কে! নবীজি (সা.) বললেন, ইহা তারিখ নির্ধারণ করে। সুতরাং সারা পূথিবীতে চাঁদ উঠলে তারিখ নির্ধারিত হয়ে যায়। তাই গতকাল (বৃহস্পতিবার) সৌদি আরবে জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ইয়াওমে আরাফাহ ছিলো, হজ্জের দিন ছিলো। আর আজকে ১০ জিলহজ্জ ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। তাই আমরাও আজকে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছি।’তিনি আরও বলেন, ‘তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী আমরা আমাদের আমলগুলো করে আসছি। দেশবাসীকে বলবো হজ্জের দিনকে হজ্জ হিসাবে ধরতে হবে। ঈদের দিনকে ঈদ হিসাবে ধরতে হবে। সময়ের পার্থক্য আছে, দিনের পার্থক্য নেই। সময়ের পার্থক্য নিজেদের দেশের মধ্যে ও রয়েছে।’এ নিয়ে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহস্রাইল পাবলিক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইস্রাফিল মোল্লা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের প্রায় সাত গ্রামের আংশিক মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দুইটি ঈদ উদযাপন করেন।’আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর