আন্তর্জাতিক ফুটবলে ধুকতে থাকা ব্রাজিল দলকে ‘জাদুর কাঠি’ দিয়ে আমূল বদলে দেবেন কার্লো আনচেলত্তি। কার্লোর নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচ থেকেই এই বদলের ছাপ দেখা যাবে এমন প্রত্যাশায় করেছিল ব্রাজিলের সমর্থকরা। তবে সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। শুক্রবার (০৬ জুন) ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করছে ব্রাজিল। এ ম্যাচে পারম্যান্সের উন্নতির বদলে গত মার্চে আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়া দরিভাল জুনিয়রকেই বেশি মনে করিয়ে দিচ্ছিল। পুরো ম্যাচে বলার মতো তেমন কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি আনচেলত্তির শিষ্যরা। এমনকি ইকুয়েডর যদি ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা না দেখাত তবে হয়তো ম্যাচ ড্র’র পরিবর্তে হার নিয়েই বাড়ি ফিরতে হতো সেলেসাওদের। ইকুয়েডরের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্রয়ের পর দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ইকুয়েডর আছে দুই নম্বরে। এদিন শুরু থেকেই ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট ছিল। প্রথম দিকে ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেলেও বল জালে জড়াতে পারেনি। পুরো ম্যাচ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এদিন ইকুয়েডরের বল দখলে রাখতেই নাকানি চোবানি খেয়েছে কার্লোর শিষ্যরা। পরিস্থিতি এমন ছিল যে, ঠিকঠাক পাস দিতেই হিমসিম খেয়েছে ভিনিরা। বরং এ সময় ব্রাজিলের চেয়ে ইকুয়েডরই তুলনামূলকভাবে বেশি উজ্জ্বল ছিল। তবে প্রথমার্ধে গোল পায়নি তারাও। বিরতির পরও নিষ্প্রভ ছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ব্রাজিলের রক্ষণভাগকে নাজেহাল করে তোলে ইকুয়েডরের ফরোয়ার্ডরা। যদিও ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার ফলে বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন তারা।ইকুয়েডরের ওপর সাময়িক কিছু চাপ প্রয়োগ করলেও তা গোল আদায়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৭৬ মিনিটে কাসেমিরোর শট ঠেকিয়ে ইকুয়েডরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ভালে। এই ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের ছায়াতেই ঢাকা ছিলেন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা।ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের ওপর বেশ চাপ প্রয়োগ করে ইকুয়েডর। তবে ব্রাজিলের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েও শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে পয়েন্ট ভাগ করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর