টানা এক বছরের বেশি সময় পর বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের জন্য শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সভার সিদ্ধান্ত ও সদর দপ্তর ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড বান্দরবান সেনানিবাসের পত্রের আলোকে ৬ জুন হতে রুমা উপজেলার বগালেক পর্যন্ত এবং থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী পর্যন্ত পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হল।এ সময় বিজ্ঞপ্তিতে ৩টি শর্ত আরোপ করা হয়। সেগুলো হলো- সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপর্যুক্ত স্থান ব্যতীত রুমা ও থানচি উপজেলার অন্য জায়গায় গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে; জেলা উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না এবং পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট পর্যটক তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।থানচি ও রুমা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সীমিত আকারে রুমা উপজেলার বগালেক পর্যন্ত ও থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। তবে এ সময় তিনটি শর্ত পালন করতে হবে পর্যটকদের। এছাড়া জেলার অন্য সকল উপজেলায় স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।উল্লেখ্য, এর আগে সর্বশেষ গত ১ ও ২ এপ্রিল রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে রুমা ও থানচি উপজেলায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন।দীর্ঘদিন যাবৎ পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে থানচি ও রুমা উপজেলা। পর্যটক না আসায় থমকে যায় এ দুই উপজেলার পর্যটন শিল্প। কর্মহীন হয়ে পড়ে হোটেল মোটেলের কর্মচারী, পরিবহন শ্রমিক, টুরিস্ট গাইড, বোট চালকসহ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ।এসআই/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর