ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে রায়পুরে বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, এ অঞ্চলের পশুর হাটে ততই বাড়ছে ক্রেতাদের ঢল। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটে ভীড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। হাটে এবার ভারতীয় গরু না থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারিরা। দাম একটু সহনীয় হলেও পছন্দ মতো গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারাও।সরেজমিনে (০৩ জুন) কয়েকটি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন, সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের গরু কেনার জন্য। অধিকাংশ ক্রেতারা বাড়ি ফিরছেন পছন্দ মতো কোরবানির গরু কিনে। কেউ কেউ আবার অপেক্ষা করছেন শেষ মুহূর্তের জন্য।হাটে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, হাটে পছন্দের গরুর অভাব নেই। তারা তাদের সাধ্যের মধ্যে ভালো ষাঁড় গরু কিনতে পারছেন।উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজার গরু হাটের ইজারাদার ইসমাইল হাওলাদার জানান, হাটে ৭০-৯০ হাজার থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা দামের অনেক বড় বড় গরু এসেছে। ক্রেতাদের পছন্দ ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গরু কিনছেন। এবার ছাগলের চাহিদাও ভালো।এ দিকে উপজেলার প্রায় সব হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা চলছে। রায়পুর উপজেলা শহরের নতুন বাজার, বাসাবাড়ি বাজার, মোল্লার হাট, মীরগঞ্জ খাসের হাট ও হায়দারগঞ্জ বাজারে বেচাকেনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।হাটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘বাহিরাগত ব্যবসায়ীদের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও বাজারের ভেতরে আনসার চৌকিদারের পাহারা রয়েছে, যাতে করে কোন প্রকার সমস্যা না হয়। এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর