সরকারি বাঙলা কলেজের চিরচেনা প্রাঙ্গণ এখন অনেকটাই নির্জন। শ্রেণিকক্ষ বন্ধ, ছাতিমতলায় নেই ভিড়, লাইব্রেরি ঘরেও নেই পাঠকের আনাগোনা। ইলশে গুড়ি বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় ভিড় জমাচ্ছে না কেউ বাসস্যান্ডেও।ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সরকারি বাঙলা কলেজে টানা ১২ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল ৩ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ১৪ জুন (শনিবার) পর্যন্ত এই ছুটি চলবে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আজ থেকেই। ইতোমধ্যে কলেজ প্রশাসন কর্তৃক ইস্যুকৃত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির খবর জানানো হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত বার্ষিক ছুটির তালিকা অনুযায়ী এ ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটির মধ্যে সরকারি ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি এবং ঈদের ছুটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ছুটিকালীন সময়ে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি সাধারণ ছুটির দিন ব্যতীত চলমান থাকবে প্রশাসনিক কার্যক্রম।ছুটির খবরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে। ক্লাস ও পরীক্ষার চাপের মধ্যে এই দীর্ঘ ছুটি তাদের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক বিরতি হয়ে এসেছে। অনেকেই ইতোমধ্যে পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সারা বছরের ব্যস্ততার মাঝে পরিবারকে সময় দেওয়ার সুযোগ খুব কমই আসে।সরকারি বাঙলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সাব্বির বলেন, ‘সারা বছর ক্লাস আর অ্যাসাইনমেন্টের চাপে জীবন হয়ে উঠে যান্ত্রিক। এত দিনের ছুটি আমাদের মানসিকভাবে রিফ্রেশ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। পরিবারকে সময় দেওয়ার সুযোগ খুবই দরকার ছিল।’কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটি শেষে আগামী ১৫ জুন (রবিবার) থেকে যথারীতি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।শুধু সরকারি বাঙলা কলেজ নয়, একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজেও। ইতোমধ্যে কলেজগুলো পৃথকভাবে ছুটির নোটিশ প্রকাশ করেছে।শিক্ষার্থীরাও ফিরতে শুরু করেছেন বাড়ির পথে। কেউ ফিরছেন ট্রেনে, কেউবা লঞ্চে বা বাসে। কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে শহরেরই ঈদ কাটানোর পরিকল্পনা করছেন।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর