ফটিকছড়িতে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফেনী নদী, হালদা, ধুরুং, সর্তা নদীসহ বিভিন্ন খাল-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।রবিবার (১ জুন) পানিতে তলিয়ে গেছে রামগড়-ফটিকছড়ি সড়কের নারায়ণহাট অংশ এবং সুয়াবিল-কাজিরহাট সড়কের লম্বা বিল অংশ। বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কেও চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া নাজিরহাট পৌরসভা ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হালদা নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি স্রোতে ভেসে গেছে। এতে পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দু’পাড়ের বাসিন্দারা।গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে দাঁতমারা, নারায়নহাট, ভুজপুর, সুয়াবিল, লেলাং, রোসাংগিরী, সমিতিরহাট ও ধর্মপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এসব এলাকার কয়েক স্থানে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।স্থানীয়দের মতে, হালদা, সর্তা ও ধুরুংসহ বিভিন্ন খাল-নদীর পানি ক্রমেই বাড়ছে, যা বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা তৈরি করেছে। দাঁতমারার হাসনাবাদ এলাকার কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক পানিতে ডুবে গেছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম।ভূজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাওলানা নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের ন্যায় এই বছরও বন্যার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভূজপুরের দক্ষিণ পাশে সড়ক ডুবে গেছে। যদি ভারি বৃষ্টি হয়, অনেক স্থান ডুবে যাবে।’নারায়ণহাট ইউপির বাসিন্দা মোঃ খোরশেদ বলেন, ‘হালদার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাজারের উত্তর পাশ দিয়ে সড়ক বেয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি না থামলে বাজারসহ অনেক স্থান পানিতে ডুবে যাবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে লোকজনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রস্তুত রেখেছি। আমাদের সব বিভাগ শতভাগ প্রস্তুত রয়েছে দুর্যোগ মোকাবেলায়।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর