আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরুর হাটে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মহিপুর বুড়িতলা গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুসের খামারে চোখ ধাঁধানো এক বিশাল আকৃতির গরু দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। গরুটির নাম ‘রাজাবাবু’।৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা ও ৭ ফুট ১০ ইঞ্চি লম্বা দেহের এই গরুর ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। দাম হাঁকা হচ্ছে ৪ লাখ টাকা। তবে শুধু আকারেই নয়, এই গরুর লালন-পালন ও পরিচর্যার পেছনের গল্পটিও কম চমকপ্রদ নয়।গরুর মালিক মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, তার ছেলে মো. আহসান হাবীব শখ করে গরুটিকে সন্তানের মতো করে লালন-পালন করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ‘রাজাবাবু’ ছিল পরিবারের প্রিয় সদস্য। শুরু থেকেই কোনো প্রকার কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ ইনজেকশন বা ফিড ব্যবহার না করে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাদ্য দিয়েই বড় করা হয়েছে গরুটিকে।তিনি জানান, গরুটিকে প্রতিদিন খাওয়ানো হয়েছে নিজ জমিতে উৎপাদিত ঘাস, খড়, গম ও ভুট্টা মিশিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার। এতে গরুটি যেমন সুস্থ থেকেছে, তেমনি আকৃতিতেও হয়েছে চমকপ্রদ।বিশেষ তথ্য হলো- রাজাবাবুর মা একবারে ৩২ লিটার দুধ দিত এবং রাজাবাবু মূলত হোলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের উন্নত বাছুর। এই জাতের গরুর দুধ এবং মাংস দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে আলাদা কদর।গরুটি এখন বিক্রির জন্য প্রস্তুত। এর খবরে আশপাশের এলাকা থেকে প্রতিদিন অনেক মানুষ দেখতে আসছেন রাজাবাবুকে। অনেকেই এর বিশালতা দেখে বিস্মিত হচ্ছেন।গরুটির প্রতি এমন যত্ম ও ভালোবাসা দেখে অনেকেই বলছেন, এটা শুধু গরু নয়, যেন পরিবারেরই একজন সদস্য।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর