নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে ফরাসি ক্লাব পিএসজি। ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লুই এনরিকের শিষ্যরা। ফাইনালে এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপনকালে ফ্রান্স জুড়ে সহিংসতায় দুইজন নিহত এবং শতাধিক গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ড্যাক্সে শনিবার (৩১ মে) রাতে এক ১৭ বছর বয়সী কিশোর ছুরিকাঘাতে মারা যায়। এদিকে প্যারিসের কেন্দ্রে একটি গাড়ির ধাক্কায় এক ২৩ বছর বয়সী স্কুটার আরোহী নিহত হন বলে জানিয়েছে প্রসিকিউটর অফিস।এদিকে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর জয়ের আনন্দে হাজারো দর্শক রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় আতশবাজি ও ফ্লেয়ার জ্বালানো, বাসস্ট্যান্ড ভাঙচুর এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনায় রাস্তা জুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সহিংসতায় ১৯২ জন আহত হন এবং ৫৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে প্যারিসেই গ্রেপ্তার হয় ৪৯১ জন। আহতদের মধ্যে ২২ জন পুলিশ ও ৭ জন অগ্নিনির্বাপক কর্মী রয়েছেন। এছাড়াও মোট ২৬৪টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।তবে, পিএসজির এই ঐতিহাসিক ৫-০ গোলের জয়ের পর, প্যারিসের চ্যাম্পিয়ন্স-এলিজে ও পার্স দে প্রিন্সেস স্টেডিয়ামের আশপাশে কিছু এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লেও, বেশিরভাগ সমর্থক শান্তিপূর্ণভাবে গান গেয়ে, নাচ করে ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে উদযাপন করেন। দিন রাতে আইফেল টাওয়ার পিএসজির লাল-নীল রঙে আলোকিত করা হয়।ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটাইয়ো বলেন, ‘সত্যিকারের পিএসজি সমর্থকেরা তাঁদের দলের অসাধারণ ম্যাচ উপভোগ করছেন। অথচ কিছু বর্বর ব্যক্তি রাস্তায় নেমে অপরাধ ও পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’প্যারিসে এই উদযাপন ঘিরে প্রায় ৫,৪০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্যারিস পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে আতশবাজি বহন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে।ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিএসজিকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখেন, ‘পিএসজির জন্য এক গৌরবময় দিন! অভিনন্দন, আমরা সবাই গর্বিত। আজ প্যারিস ইউরোপের রাজধানী।’
Source: সময়ের কন্ঠস্বর