পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় আরও তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে আরো একজন মারা যান।বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকাল ৩টায় করতোয়া সেতুর পশ্চিম দিকে এশিয়ান হাইওয়ের পাকুড়িতলা মোড়সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত হন—শ্যামলী রানী, তার বড় বোনের মেয়ে দেবীশ্রী রানী (৭) এবং বউদি ভরসা রানী।নিহতদের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইকটি দেবীগঞ্জ থেকে লক্ষীরহাটের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক সামনে থেকে ইজিবাইকটির ধাক্কা দিলে সেটি সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। ইজিবাইকটির চালক অক্ষত থাকলেও যাত্রীরা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। গুরুতর অবস্থায় শ্যামলী রানী ও দেবীশ্রীকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়। তবে শ্যামলী রানী রওনা দেওয়ার আগেই মারা যান এবং দেবীশ্রী হাসপাতালে পৌঁছেই মারা যায়।পরে গুরুতর আহত আরও তিনজন—অজয় কুমার রায়, পার্বতী রানী ও ভরসা রানীকে রংপুর মেডিকেলে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভরসা রানী মারা যান।শ্যামলী রানীর ভাই গৌতম চন্দ্র বলেন, ‘গতকাল আমার শাশুড়ি মারা যান। পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া আনন্দবাজার এলাকায় শ্বশুরবাড়ি। শাশুড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে আজ সবাই বাড়ি ফিরছিলো।’ তিনি আরও জানান, অটোর যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন তার বাবা, বোন, বউদি, ভাগ্নে ও ভাগ্নী। তাদের বাড়ি পামুলী ইউনিয়নের জোত ভুবনপাড়া এলাকায়। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর আগেই ঘটে এই দুর্ঘটনা।এদিকে মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও তিনজনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভুক্তভোগী পরিবারে চলছে শোকের মাতম।দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।উল্লেখ্য, ঘাতক ট্রাকটিতে মাছ বহনকারী ড্রাম ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ট্রাকটি শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ। গত এক মাসে এশিয়ান হাইওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৭ জনের। এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর