কক্সবাজারের উখিয়ায় ইয়াবা গায়েবের অভিযোগে বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ির ১৪ জন সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সময়ের কন্ঠস্বর-এ সংবাদ প্রকাশের পর মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২৩ মে) দুপুরে বালুখালী ফাঁড়ির সামনে টমটমযোগে আসা এক নারীকে আটক করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে তল্লাশি চালিয়ে তার গাড়ি থেকে পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগে প্রায় ২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ওই নারীকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো জব্দ না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা।জানা গেছে, আটক হওয়া নারী হলেন উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেহানা আক্তার (৩২)। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। পরে সোমবার (২৬ মে) রাতে ‘উখিয়ায় নারী পাচারকারীর ইয়াবা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে!’ শিরোনামে সময়ের কন্ঠস্বর-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।সংবাদের পরপরই উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। তবে অভিযানে জড়িত ১৪ পুলিশ সদস্যের কেউই দায় স্বীকার না করায় তাদের সবাইকে ক্লোজ (বাহিনির মূল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে লাইন হাজির) করার সিদ্ধান্ত নেয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।বালুখালী ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ফাঁড়িতে থাকলে আইনগত প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কে দায়ী- এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে না চাওয়ায় সবাইকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংশ্লিষ্টদের ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উখিয়া থানার ওসিকে অভিযুক্ত নারী মাদক পাচারকারীকে খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।’এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর