দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বরে গত ২০ এপ্রিল ‘নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জনস্বাস্থ্য খাতের এমন চিত্র তুলে ধরার পর দ্রুত সাড়া দেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুরু হয় কিছু আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন। চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক—ডা. মনজুরুল ইসলাম (শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ), ডা. ফারহানা আফরোজ (রক্ত রোগ বিশেষজ্ঞ) এবং ডা. কাজল পোদ্দার (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, অধ্যয়নরত)। তাঁদের যোগদানের ফলে স্বাস্থ্যসেবায় এসেছে নতুন গতি; রোগীরা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি গঠনমূলক ও সময়োপযোগী চিকিৎসা পাচ্ছেন। পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে হাসপাতালের পরিবেশেও। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত ও অযত্নে পড়ে থাকা ট্রেনিং ভবনের চারপাশ এবং হাসপাতালের ভেতর-বাইরের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, ফলে হাসপাতাল এখন অনেকটাই পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত। রোগীদের সুবিধার্থে উন্নয়ন করা হয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতিরও। বর্তমানে রক্ত, ইউরিন, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় টেস্ট এখন হাসপাতালেই করানো সম্ভব হচ্ছে, যা রোগীদের সময় ও অর্থ—দুই দিক থেকেই উপকারে আসছে। পরিবর্তনের এ ধারা রোগীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তাঁদের বিশ্বাস, এই অগ্রগতি যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবিষ্যতে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার এক অনন্য উদাহরণে পরিণত হবে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘২০ এপ্রিলের প্রতিবেদনটি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভাবতে বাধ্য করেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। চিকিৎসক নিয়োগ, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম এবং যন্ত্রপাতি উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই আরও উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর