কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া কোনারপাড়া এলাকায় স্থানীয় যুবকদের তাৎক্ষণিক সাহসিকতায় গ্রেফতার হয়েছে দুই সন্ত্রাসী। রবিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করার পর তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-কার্তুজ ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।আটকরা হলেন- রামু উপজেলার রশিদনগরের ফকির আহমদের পুত্র আমির হোসেন এবং একই ইউনিয়নের মোহাম্মদ শফিউল আলমের পুত্র মো. সাদ্দাম হোসেন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইলিয়াস খান বলেন, “আটক দুই যুবকের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, একটি পুরাতন রাউন্ড কার্তুজ, চারটি খালি কার্তুজ, ৭৫৩ পিস ইয়াবা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে আমির ও সাদ্দাম একটি মোটরসাইকেলযোগে এসে কোনারপাড়ার নুরুন নবীর দোকানের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হলে এলাকার সচেতন তরুণরা তাদের ঘিরে ফেলেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের শরীরে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায়।সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, আটককৃতদের মোবাইল ফোন চেক করে স্থানীয়রা অস্ত্র বিক্রি ও লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক ছবি, অডিও রেকর্ডিং এবং চ্যাট দেখতে পান। এমনকি, একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল করে যুবকদের ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলেও জানান স্থানীয়রা।তবে কোনারপাড়ার তরুণরা আপোষ করেননি। বরং তারা আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয়ে পুলিশকে খবর দেন এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।খরুলিয়ার তরুণদের এমন সাহসিকতা ও সচেতনতা এখন প্রশংসিত হচ্ছে সর্বমহলে। স্থানীয়রা বলেন, “আমাদের এলাকায় কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ বরদাশত করা হবে না। আমরা অন্যায় ও অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।”এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর