কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ঠাকুরবাখাই ইউনিয়নের শরচাপুর গ্রামের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে এক বিশালাকৃতির গরু, যার নাম ‘প্রধান ’। নামটি যেমন ব্যতিক্রমী, তেমনি এর আকৃতি ও পরিচর্যার গল্পও বিস্ময়কর। এলাকাবাসীর কাছে গরুটি এখন গর্ব, ভালোবাসা আর দীর্ঘ পরিশ্রমের প্রতীক।গরুটির মালিক মো. গিয়াস উদ্দিন নিজ বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে জানান, ‘রাজপাহাড়’-এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট, আর ওজন প্রায় ৩৫ মন । প্রতিদিন গড়ে ৮-১০ কেজির বেশি খাবার খায় এই গরুটি। এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়ি, সয়াবিনের ভুসি, ডাবলি ভুসি, ছোলা বুট, ভূট্টা ভাঙা, খুদ, খৈল, কলা ও সবুজ ঘাস।তিনি বলেন, “গরুটি আমার কেনা কেনার সময় গরুটির বয়স ছিলো ১৪ মাস। গত ১ বছর ১০ ধরে পরম স্নেহে লালন-পালন করেছি। এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” প্রধান কেনো নাম দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার ছেলে একদিন খামারে গরু দেখতে যায়। পরে সে এইটার নাম প্রধান দেয় কারণ খামারের সবচেয়ে বড় গরু এটি। এরপর থেকেই ভালোবেসে এটির নাম প্রধান বলা হয়। ‘প্রধান’কে ঘিরে রয়েছে পরিবারের সবার গভীর যত্ন ও ভালোবাসা। দিনে দুইবার গোসল করানো হয়, সারাদিন ফ্যানের নিচে রাখা হয় এবং রাতে মশারির মধ্যে ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে।গরুটি দেখতে এবং কিনতে আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন—ঠাকুরবাখাই ইউনিয়নের সরচাপুর ঘাটে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ‘প্রধান’ এখন আর শুধু একটি গরুর নাম নয়—এটি একটি পরিবারের দীর্ঘ প্রায় ২ বছরের সখ, সাধনা ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জীবন্ত। এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর