গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ী টু নরসিংহপুর আঞ্চলিক সড়কের কোনাবাড়ী হতে সুরাবাড়ী (কাশিমপুর) পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।এমন অবস্থায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা।সড়কের খানাখন্দ হয়ে যাওয়া স্থানগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর। সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায় রাস্তার দু’পাশে শিল্প কারখানা থাকাতে বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে ছোট,বড় গর্তের সৃষ্টি হয়।অতি দ্রুতই ভেঙে যাওয়া গর্তের সৃষ্টি হওয়া স্থানগুলো সংস্কার করে যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ও যাত্রীরা জানান, ওই সড়কে দীর্ঘদিন ধরে কোনাবাড়ী থেকে কাশিমপুর সড়কের এলাকায় ধুলোবালি,বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদাযুক্ত হয়ে পড়ে। এ সড়ক দিয়ে যানবাহন নিয়ে চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়াই দুরূহ হয়ে পড়েছে। এটা মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে।এই আঞ্চলিক সড়ক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক থেকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি বলে জানা যায়। জিতারমোড় এলাকার আবুল হাশেম জানান, কয়েক মাস আগে কিছু খানাখন্দ ভরাট করলেও আবার বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হলেও সংস্কার কাজ করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে এই সড়কে অনেকাংশেই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।ইজিবাইক চালক কবির হোসেন বলেন, ‘সড়কটিতে বড় বড় খানাখন্দ হওয়ায় প্রতিনিয়ত গর্তের মধ্যে পড়ে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।দুর্ঘটনার ভয়ে যাত্রীরাও গাড়িতে উঠতে চাইছে না। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে যানবাহন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে।ভুক্তভোগী যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, সড়কটির একি হাল হয়েছে! সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। হেলেদুলে চলায় যানবাহনের ভেতর বসে থাকা যায় না। কিছুদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের অটো রিকশা উল্টে পা ভেঙ্গেছে।এ রকম ঘটনা যাতে আর না হয়, দ্রুত এই খানাখন্দ ভরাট রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাই।গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, আঞ্চলিক সড়কের যেখানে যেখানে এরকম অবস্থা রয়েছে। সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।খুব শীঘ্রই এগুলো টেন্ডারের কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজগুলো শুরু করা হবে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর