পটুয়াখালীর বাউফলে ‘অবহিত না করে’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা নিয়ে তর্কের জেরে বাউফল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ এইচ এম শহীদুল হকের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন হয়েছে।বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাউফল উপজেলার সর্বস্থরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে উপজেলা সদরের পাবলিক মাঠ-সংলগ্ন মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে কয়েকটি ঝাড়– প্রদর্শণ করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয় ।পরে তারা সেখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।বক্তারা বলেন, একজন ইউএনও যেভাবে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ঔদ্ধত্য ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। তা খুবই ভয়ংকর এবং দুঃখজনক। তিনি আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর। শেখ হাসিনার মূখ্য সচিবের আপন ভাগ্নি জামাই। এমন ফ্যাসিবাদ ইউএনওকে অপসারণ করতে হবে।শহীদুল হক দৈনিক কালেরকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধিও। স্থানীয়ভাবে তিনি এমরান হাসান সোহেল নামে পরিচিত।উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাংবাদিক এ এইচ এম শহীদুল হক অভিযোগ করেছেন,‘ তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার হুমকির দেওয়ার পর ইউএনও আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে ইউএনও আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সমজোতা করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এ কারণে তিনি শঙ্কিত।’এ বিষয়ে জানতে ইউএনও আমিনুল ইসলামের মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি শহীদুল হককে কোনো মাধ্যমেই সমজোতা করার জন্য চাপ দেননি। প্রথমত শহীদুল হক অনুষ্ঠানের অনুমতি নেননি। এরপরে তিনি ও তার সঙ্গীয় লোকজন তার সঙ্গে চরম অসৌজন্যমূলক ও অসাদাচরণ করেছেন। ভিডিও দেখলেই বুজতে পারবেন। অথচ তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে পরিবেশ ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।উল্লেখ্য,গত সোমবার বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পটুয়াখালী জেলা কার্যালয় ও বাউফল দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ‚ড়ান্ত পর্বের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল। দুপুর ১২টার সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতার শেষ পর্বে অংশ নিতে বিদ্যালয়ে আসেন ইউএনও আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে এসেই ক্ষুব্ধ হন তিনি। এ নিয়ে এ এইচ এম শহীদুল হকের সঙ্গে ইউএনওর কথা-কাটাকাটি হয়।এ সময় শহীদুল হক বলেন, ‘আপনি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, একজন কৃষকের ফোনও ধরতেও বাধ্য।’ এর পর খেপে গিয়ে ইউএনও আমিনুল বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের আমি এমন কর্মচারী মালিককে শাস্তিও দিতে পারি।’ তখন শহীদুল বলেন, ‘ক্ষমতা আছে, আপনি দেন শাস্তি।’ এ সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর