ঢাকার ধামরাইয়ে ৪র্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ৬দিন আটকিয়ে রাখার পর ধর্ষণ করার অভিযোগে নারী সহযোগীসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।বুধবার (২১মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ মে) দিনগত রাতে আশুলিয়া থানার নবীনগর বটতলা এলাকা থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেপ্তার করেন ধামরাই থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করে।আটককৃত আসামিরা হলেন- (১) রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার মুংলাকুটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুজ্জামান, সে বর্তমানে আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় ইদ্রিস আলীর বাসায় ভাড়া থাকে। (২) রংপুর জেলার গংগাচরা থানার খাটারি খা বাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে মো. আয়নাল হক, সে আশুলিয়া থানার জামগড়া এলাকার মো. কুদ্দুস আলীর বাড়ীর ভাড়াটিয়া। (৩) মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানা দরগ্রামের মোজ্জামেল হকের ছেলে মো. রবিউল আওয়াল, বর্তমানে আশুলিয়া থানার নবীনগর বটতলা এলাকার পুতুলের মার বাড়ীর ভাড়াটিয়া। মেয়ের বাড়ি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইল গ্রামের বাসিন্দা।ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গাওয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য বাড়ী থেকে বের হয়ে যায় ওই স্কুল ছাত্রী। তারপর বিকেলেও বাড়ী ফিরে না আসলে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু কোথাও তাকে না পেয়ে ১৭/০৫/২৫ইং তারিখে ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার।জিডির প্রেক্ষিতে ধামরাই থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০/০৫/২৫ দিনগত রাতে আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকার বটতলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে ধামরাই থানা পুলিশ। আমার মেয়ের কাছে জানতে পারি, গত ১৫/০৫/২৫ইং তারিখে বাড়ীর পাশে শফিকুলের মেয়ে সোহানা বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ করে আরিফুজ্জামান এর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আরিফুজ্জামান ঐ স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর আরিফুজ্জামান এর বন্ধু আয়নাল হকের কাছে বুঝিয়ে দিলে, তিনি তার বন্ধু রবিউল আওয়াল এর ভাড়া করা বাসায় নিয়ে রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে আয়নাল হক ঐ স্কুল ছাত্রীকে রবিউল আওয়াল এর বাসায় একটি রোমে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সেই বাসায় স্কুল ছাত্রীকে আটকিয়ে রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে আরিফুজ্জামান সেই বাসায় গিয়ে আবারও একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে।উপ-পরিদর্শক ( এএসআই)উজ্জ্বল বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম উদ্ধারসহ আসামীদের আটক করে থানায় নিয়ে আসি।ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানায়, ধামরাই থানার গাওয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়। পরে সেই জিডির আলোকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগের ৪জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর