চাকরি ছেড়ে এক হাতে ফ্লাস্ক, আরেক হাতে কাপে করে কফি বিক্রি তবে সেটাই এখন তার পরিবারে আলো জ্বালাচ্ছে। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. মোস্তাক আহামেদ ছেলে মো. রিফাত বর্তমানে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে এই ভ্রাম্যমাণ কফি ব্যবসা চালাচ্ছেন। মাসে তার আয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা, আর এই আয়ে চলছে ৭ সদস্যের পরিবারের সংসার। যার মধ্যে রয়েছে একটি ৫ বছর বয়সী সন্তান।২০২১ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে অনার্স শেষ করা রিফাত এক সময় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তবে সেখানে সময় আর আয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। নিজের কিছু করার আগ্রহ থেকেই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি নয় নিজের ব্যবসা করবেন।দোকান নয়, তিনি কফির ফ্লাস্ক ও কাপ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায়, অফিস বাসা চৌরাস্তা ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে থাকেন কফি। তবে শুরুটা সহজ ছিল না। আশপাশের অনেকে বাঁকা চোখে তাকিয়েছেন, কেউ কেউ খোঁচাও দিয়েছেন।রিফাত বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতাম তখন বসের কথা শুনা লাগতো। আমি একটা সময় উদ্যোগ নেই আমি নিজেই কিছু একটা করব। প্রথমে অনেকেই হাসাহাসি করত। বন্ধু ও প্রতিবেশীরা বলত চাকরি ছেড়ে ফ্লাস্ক নিয়ে ঘুরিস? কিন্তু আমি জানতাম, আমি সৎভাবে কাজ করছি। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে এগিয়ে গেছি। এখন সবাই কদর করে।তিনি আরও বলেন, আমার বাবা মা সংসারের খরচ চাল, দুধ, ভাড়া সবই এই কফি বিক্রির টাকায় চলে। কষ্ট আছি তবুও শান্তি অনেক বেশি।নিয়মিত কফি ক্রেতা সুজন মিয়া বলেন, রিফাত ভাইয়ের কফি যেমন টেস্টি, তেমনি উনার ব্যবহার খুব ভালো। এই এলাকায় এমন আন্তরিক মানুষ খুব কম। ওনার গল্পটা আমাদের মতো তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।রিফাত প্রমাণ করে দিয়েছেন ইচ্ছা আর সাহস থাকলে ছোট পুঁজিতেও সফল হওয়া যায়। তিনি শুধু একজন কফি বিক্রেতা নন একজন সাহসী উদ্যোক্তা, একজন সংগ্রামী পিতা, একজন অনুপ্রেরণাদায়ী মানুষ।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর