মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে মিতু আক্তার (৩২) নামে এক নারীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরকাদিম পৌর এলাকার পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (২০ মে) ভোর ৫টার দিকে অভিযুক্ত স্বামী মো. সুমন মিয়া নিজেই সদর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেন।নিহত মিতু আক্তার মিরকাদিম পৌরসভার নৈদিঘীর পাথর এলাকার মন্টু শিকদারের মেয়ে। প্রায় আট মাস আগে মিতু আক্তার তার প্রথম সংসারের দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে পূর্বপাড়া এলাকার মো. সুমন মিয়ার (৪৫) সঙ্গে পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মিতু আক্তার ও ডিভোর্সী ছিলেন। এজন্য প্রায় ৮ মাস আগে সুমন ও মিতু আক্তারের পরিবার তাদের দুজনকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক মাস তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। গত ৫ মাসের বেশি সময় আগে সুমন মিয়ার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়া নিয়ে মিতুর সঙ্গে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। সুমন মিয়া সংসারের শান্তির জন্য মিতুকে নিয়ে পূর্বপাড়া এলাকার অন্য একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সেখানেও তাঁদের ঝগড়াঝাঁটি চলছিলো। গত কিছুদিন আগে সুমন মিয়া দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু আক্তারকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেন। এর জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে সুমন মিয়ার সঙ্গে মিতু আক্তারের আবারো ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মিতু আক্তারকে ঘরের বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম মঙ্গলবার সকালে বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে থানায় এসে হাজির হন সুমন মিয়া। স্ত্রী মিতু আক্তারের দ্বারা মানসিক অশান্তির কারণে সুমন মিয়া তার নিজ হাতে বটি দিয়ে মিতু আক্তারকে হত্যা কথা স্বীকার করেন। তিনি নিজে অনুতপ্ত হয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর