প্রশ্ন: কুরবানির পশুতে সাত ভাগের এক ভাগের টাকা দুই ভাই মিলে, আমাদের মায়ের পক্ষ থেকে দিলে কুরবানি হবে কিনা!উত্তর: না, এভাবে কুরবানি করলে কুরবানি সহিহ হবে না। কারণ, এখানে এক ভাগে শরিক হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি। এক ভাগে একাধিক ব্যক্তি শরিক হলে ওই কুরবানি বিশুদ্ধ হয় না। (আদদুররুল মুহতার ৯/৪৫৭)এটা জায়েজ হওয়ার একটি সূরত এই যে, তাদের একজন অপরজনকে তার টাকার মালিক বানিয়ে দিবে। অতপর তিনি নিজের পক্ষ থেকে কুরবানি করবেন। তাহলে কুরবানি বিশুদ্ধ হবে।হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূল সা.-এর সঙ্গে হজের ইহরাম বেঁধে রওনা হলাম। অতঃপর তিনি উট ও গরুতে আমাদের মধ্যে সাতজন করে শরিক হওয়ার (ও কুরবানি করার) নির্দেশ দিলেন। (সহিহ মুসলিম ১৩১৮, ৩০৪৯)একান্নভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির ওপর কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্ত পাওয়া গেলে অর্থাৎ তাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের প্রত্যেকের ওপর ভিন্ন ভিন্ন কুরবানি ওয়াজিব।পরিবারের যত সদস্যের ওপর কুরবানি ওয়াজিব তাদের প্রত্যেককেই একটি করে পশু কুরবানি করতে হবে কিংবা বড় পশুতে পৃথক পৃথক অংশ দিতে হবে। একটি কুরবানি সবার জন্য যথেষ্ট হবে না।প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বর্তমানে বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজনাতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কুরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর